রবিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০২:২১ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডকে রহস্যজনক ও আশ্চর্যজনক বলে মন্তব্য করেছেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর। তিনি বলেন, এই ঘটনা কিন্তু আমাদের চোখ খুলে দিয়েছে। সচিবালয়ে ফাইলের স্তূপ, কাগজের স্তূপ থাকা উচিত না। এখন অবশ্যই যেটা জেলা-উপজেলা থেকে আসবে বা কেউ একটা দরখাস্ত দিতে পারে। এগুলোর হার্ডকপি থাকতে পারে। একই সঙ্গে আমি মনে করি, এগুলো যদি এখন ডিজিটালাইজড ডকুমেন্টস থাকত, তাহলে কোনো না কোনোভাবে উদ্ধার করা যেত।
বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) দুপুর সচিবালয় থেকে বের হয়ে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ মন্তব্য করেন। নুরুল হক বলেন, পুরো ঘটনাটাই আশ্চর্যজনক এবং রহস্যজনক। গভীর রাতে এই আগুন যখন ধরল, সেটা আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়েছে, আমাদের সিস্টেম কত দুর্বল। ফায়ার সিস্টেমও কত দুর্বল। সচিবালয়ের মতো জায়গায় আগুন নেভাতে যদি এত ঘণ্টা লাগে, দুই এক ঘণ্টার মধ্যে যদি নিয়ন্ত্রণে না আনতে পারে, তাহলে তো বুঝতেই হবে যে তারা এখনও অ্যানালগ সিস্টেমে পড়ে আছে।
ডাকসুর সাবেক এই ভিপি বলেন, ভেতরে কিছু কক্ষ পুড়ে গেছে এবং সবচেয়ে শঙ্কার যেটি, সেটি হল আমাদের উপদেষ্টারাও বলেছেন যে, তারা ইতোমধ্যেই বিগত সরকারের আমলের কিছু প্রকল্পে দুর্নীতি, লুটপাটের বেশ কিছু ঘটনা ছিল, সেগুলো নিয়ে তারা বেশ কিছু তথ্য-প্রমাণ সংগ্রহ করে তদন্ত শুরু করেছিলেন। সেই সঙ্গে বর্তমান সরকারের এই অল্প সময়ে নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত এবং কাজ সেগুলোর গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র নষ্ট হওয়া, এটাই হচ্ছে বড় ক্ষতি। কারণ, বিল্ডিং একটা নষ্ট হলেও, বিল্ডিং করতে পারবে। বিল্ডিংয়ে আর কয় টাকা যাবে। নথিগুলো এইভাবে পুড়ে গেছে, সেগুলো তো আর ফেরত পাওয়া যাবে না।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এখানে যেহেতু একাধিক মন্ত্রণালয় ছিল এবং এই সরকারের একটা অগ্রাধিকার যেটা আমরাও বলেছি, বিগত ১৬ বছরে যে দুর্নীতি এবং লুটপাট হয়েছে, সেগুলো তো ইতোমধ্যেই বের হয়ে আসছে, সেটা নিয়ে সরকার কাজ করছে। সামগ্রিকভাবে অর্থনীতি খাতের যে দুর্নীতির একটা শ্বেতপত্র সেটা সিপিডি প্রকাশ করেছে। কিন্তু, মন্ত্রণালয়গুলো যদি সুনির্দিষ্টভাবে তাদের মিনিস্ট্রি ধরে কাজ করে, তাহলে কিন্তু সেটা তারা ব্যাপক আকারে বের করে আনত পারত